ব্রেক্সিট: বাণিজ্য চুক্তির দ্বারপ্রান্তে ইইউ-ব্রিটেন

সপ্তাহান্তে শীর্ষ স্তরে আলোচনার পর ব্রেক্সিট পরবর্তী সম্পর্কের লক্ষ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও ব্রিটেনের আলোচনার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার ইইউ শীর্ষ সম্মেলনের আগে বিষয়টির নিষ্পত্তির চেষ্টা চলছে।

প্রায় আট মাসে যা সম্ভব হলো না, মাত্র দুই দিনে সেই অসাধ্যসাধনের প্রচেষ্টা কতটা ফলপ্রসু হবে, সে বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা দেখা যাচ্ছে না। 

ইইউ ও ব্রিটেনের মধ্যস্থতাকারীরা সপ্তাহান্তে হাল ছেড়ে দেবার পর দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির সম্ভাবনা কার্যত শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শনিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন টেলিফোনে আলোচনার পর শেষ চেষ্টা চালাতে সম্মত হন। তারই আওতায় রবিবার ও সোমবার দুই পক্ষের মধ্যস্থতাকারীরা আবার মুখোমুখি হচ্ছেন। 

আজ সোমবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জনসন ও ফন ডেয়ার লাইয়েন আবার টেলিফোনে কথা বলে সম্ভবত চূড়ান্ত ঘোষণা করতে চলেছেন। আজই সব বিষয়ের নিষ্পত্তি না হলে আলোচনার সময়সীমা আরো বাড়ানোর সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।

আগামী বছরের পহেলা জানুয়ারি ব্রিটেন পাকাপাকিভাবে ইইউ ত্যাগ করলে দুইপক্ষের মধ্যে বাণিজ্যসহ বাকি সম্পর্ক স্থির করতে চুক্তি এখনো অধরা রয়ে গেছে। চুক্তি স্বাক্ষর ও অনুমোদনের জন্য সময়ও প্রায় শেষ। বৃহস্পতিবার ইইউ শীর্ষ সম্মেলনে বিষয়টি চূড়ান্ত করতেই হবে। সেই অনুযায়ী নতুন বছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের প্রস্তুতি নিতে হবে। চুক্তি সম্ভব হলেও সীমান্তে ব্যাপক যানজট ও জটিলতার আশঙ্কা রয়েছে। চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের ক্ষেত্রে সেই মাত্রা আরো কয়েকগুণ বেড়ে যেতে পারে।

ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের দাবি, ব্রিটেনের জলসীমায় ইইউ দেশগুলোর জেলেদের মাছ ধরার অধিকার নিয়ে বিরোধ মিটে গেছে। ফলে বিরোধের তিনটি বিষয়ের মধ্যে একটির নিষ্পত্তি হয়েছে। ব্রিটেনের সরকারের এক সূত্র অবশ্য এমন সাফল্যের দাবি অস্বীকার করেছে। ইইউ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। 

ভবিষ্যতেও অভ্যন্তরীণ বাজারের নাগাল পেতে হলে ব্রিটেনকে ইইউ পরিবেশ, সামাজিক ও শ্রম সংক্রান্ত মানদণ্ড মেনে চলার শর্ত রেখেছে ব্রাসেলস। সেইসাথে বিরোধ মেটাতে স্পষ্ট আইনি প্রক্রিয়াও স্থির করার দাবি জানিয়েছে ইইউ। এই দুটি বিষয়েরও নিষ্পত্তি হলে চুক্তি সম্ভব হতে পারে। তবে আজই সেই সাফল্য নাও আসতে পারে।

ব্রিটেনের সাথে ইইউর দরকষাকষির ক্ষেত্রে বিশেষ করে ফ্রান্স অত্যন্ত কড়া অবস্থান নিচ্ছে। ব্রিটেনকে খুব বেশি ছাড় দেয়া হলে সে দেশ এমনকি চুক্তি বানচাল করতে ভেটো প্রয়োগের ইঙ্গিত দিচ্ছে। অন্যদিকে আয়ারল্যান্ড নিজস্ব স্বার্থ অক্ষুণ্ণ রাখতে চুক্তি চাইছে। ইইউ কমিশন তথা ইইউ মধ্যস্থতাকারী মিশেল বার্নিয়ে আলোচনার কাঠামোর সীমা অতিক্রম না করে দরকষাকষি চালিয়ে যাচ্ছেন। -ডয়চে ভেলে

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //